প্রায় আট মাস যাবত মই দিয়ে ১০ ফুট উঁচু দেয়াল টপকিয়ে নিজ বাড়িতে যাতায়াত করছেন জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা শহরের একটি দরিদ্র পরিবার। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় শিশু, বয়োবৃদ্ধ ও নারীসহ পরিবারের সবাই একইভাবে যাতায়াত করছেন। রাস্তা বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না।

জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলা শহরের নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফকির আলী প্রায় বিশ বছর আগে জমি কিনে বসবাস শুরু করেন। পাশেই ফিরোজ মিয়া নামে জনৈক ব্যক্তিও জমি কিনেন। জমির পূর্ব মালিকরা এলকাবাসীদের চলাচলের জন্য ৬ ফুট প্রশস্ত রাস্তা দিয়েই জমি বিক্রি করেন। প্রায় ত্রিশ বছর যাবত ওই রাস্তা দিয়ে ফকির আলীসহ এলাকার লোকজন যাতায়াত করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে ফিরোজ মিয়া ইট দিয়ে ওয়াল করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। ফলে ফকির আলীর পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বর্তমানে মই দিয়ে ১০ ফুট উঁচু দেয়াল টপকিয়ে নিজ বাড়িতে যাতায়াত করে আসছেন। বাড়ির শিশু, মহিলা ও বয়োবৃদ্ধরাও অতিকষ্টে একইভাবে চলাচল করে আসছে। এই নিয়ে একাধিকবার গ্রাম সালিস বসেও কোন সমাধান করতে পারেনি

এ ব্যাপারে নামাপাড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান হিটলার মেম্বার জানান, রাস্তাটি খুলে দেওযার জন্য গ্রামবাসী সবাই তাকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু খুলে দেননি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকার লোকজন বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছি।

ভুক্তভোগী ফকির আলী জানান, সম্প্রতি প্রতিবেশী এক লোকের সাথে ফিরোজ মিয়ার বিবাদ হয়। ওই ঘটনায় ফিরোজ মিয়ার প্রতিপক্ষরা ফিরোজ মিয়ার নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী মামলায় সাক্ষী হিসেবে আমার নাম ব্যবহার করে। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরোজ মিয়া ৩০ বছরের পুরানো রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন

অভিযুক্ত ফিরোজ মিয়া জানান, আমি কারও চলাচলের রাস্তা বন্ধ করি নাই। আমি আমার বাসাবাড়ির নিরাপত্তার জন্য আমার নিজের জমিতে ওয়াল দিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুন মুন জাহান লিজা জানান, অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করি সমাধান হবে।

ইত্তেফাক/এএএম