সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত 17 বছর বয়সী এলিসার ছবি প্রকাশ করে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই তথ্যটি কতটা সত্য আসুন জেনে নেই


বিষয়টি নিয়ে সত্যতা যাচাই করেছে বাংলাদেশে ফেসবুকের অফিসিয়াল ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান বুম বাংলাদেশ। তারা জানিয়েছে, এলিসা কার্সনকে নিয়ে ছড়ানো খবরটি সত্য নয়। বুম বাংলাদেশের প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হল:
‘বুম যাচাই করে দেখে এলিজা কার্সন মহাকাশ সংক্রান্ত অভিযান বিষয়ে আগ্রহী। নাসা এলিজাকে ২০৩০ সালে মঙ্গলগ্রহে পাঠানোর জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এই দাবির কোনও সারবত্তা নেই।
সোশাল মিডিয়ায় গ্রাফিক পোস্টে এলিজা কার্সনরে ছবি ও তাঁকে ঘিরে বিভ্রান্তিকর দাবি সহ ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয় এলিজা আর পৃথিবীর মাটিতে ফিরে আসবেন না। তিনি ২০৩৩ সালে নাসার মানববাহী মঙ্গল অভিযানে সামিল হবেন।
তথ্য যাচাই:
বুম যাচাই করে দেখে এলিজা কার্সনকে নাসা প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের প্রথম মানববাহী মঙ্গল অভিযানের জন্য নির্বাচিত করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এই দাবিটি ভুয়ো।
২০১৮ সালে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে একাধিক তথ্য-যাচাইকারী সংস্থা তথ্য-যাচাই করে।
আন্তর্জাতিক তথ্য যাচাইকারী সংস্থা স্নোপস বিষয়টি নিয়ে ১৭ জুলাই ২০১৮ তথ্যযাচাই করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয় এলিজা কার্সন নাসার একাধিক স্পেস ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু নাসা তাঁকে মঙ্গল অভিযানের জন্য কোনও প্রশিক্ষণ দেয়নি।
বুম কার্সনের ওয়েবসাইটে তাঁর সম্পর্কে বর্ণনা পড়ে দেখে সেখানে কোথাও উল্লেখ নেই যে তিনি ২০৩০ সালে মঙ্গল অভিযানের সঙ্গে যুক্ত। ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয় নাসার 'মার্স ওয়ান' অভিযানের ৭ জন দূতের মধ্যে কার্সন অন্যতম। কিন্তু কার্সনকে নাসা মঙ্গলে পাঠানোর জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এ তথ্যের উল্লেখ নেই কোথাও।
মার্স ওয়ান এর ওয়েবসাইটে এলিজা কার্সনকে একজন দূত হিসেবে বর্ণনা করা হলেও উল্লেখ নেই তিনি নাসাতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বেসরকারি এই ডাচ এই সংস্থা দাবি করে তারা মঙ্গলে মানুষের জন্য কলোনি গড়বে। পরে গণমাধ্যমে সংস্থাটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়।
কার্সন মহাকাশে যেতে চান কিন্তু নাসার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই ২০১৮ সালে তথ্যযাচাই করে আরেক তথ্য-যাচাইকারী সংস্থা পলিটিফ্যাক্ট।