‘আর্টিস্টস অন দ্য মুন’। চলতি বছরের মধ্যেই চাঁদে পাঠানো হচ্ছে তিনটি টাইম ক্যাপসুল। যার মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছে যাবে প্রায় ১২০০ লেখক-কবি-শিল্পীর শিল্পকর্ম! আর সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এক বাঙালি এক তরুণের গল্পও। নিঃসন্দেহে বাঙালির জন্য যা এক মস্ত সুখবর। 


ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক খবরে জানা যায়, বিশিষ্ট লেখক, পদার্থবিদ ও ‘গোল্ডেন গ্লোব’-এর প্রযোজক স্যামুয়েল পেরালতা এই কর্মকাণ্ডের হোতা। নিজে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে সকলকে এবিষয়ে বিশদে জানিয়েছেন তিনি। তার পোস্ট থেকেই জানা যাচ্ছে এর মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কার জনপ্রিয় কল্পবিজ্ঞান লেখক ধনঞ্জয় বিজয়রত্ন সম্পাদিত সংকলন ‘মোহ্স ৫.৫: মেগাস্ট্রাকচারস অ্যান্থোলজি’-র গল্পগুলিও। এই সংকলনেই স্থান পেয়েছিল সোহম গুহর ইংরেজি গল্প ‘আওয়ার লাইভস অন দ্য টাইডস’-ও। যা বাকি গল্পের সঙ্গেই এবার চাঁদে পৌঁছে যাবে।
২০১৯ সালে চাঁদের মাটিতে মানুষের পা রাখার ৫০ বছর পূর্তির সময়ই নাসা প্রথমবারের জন্য অনুমতি দেয় চাঁদে বাণিজ্যিক উড়ানের। অনুমতি পায় দু’টি সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রবটিক’ ও ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’। ‘অ্যাস্ট্রবটিক’-এর ল্যান্ডার পেরিগ্রিন এবছরের জুন-জুলাইয়ে চাঁদে নামবে। তার মধ্যেই থাকবে স্যামুয়েল পেরালতা প্রেরিত শিল্পকর্মগুলি। তিনটি টাইম ক্যাপসুলে থাকবে মোট ১১৩৪ জনের লেখা-আঁকার নিদর্শন। 
টাইম ক্যাপসুল  সহজ ভাবে বললে এটা হল এমন এক তথ্যপঞ্জি, যা আসলে সংরক্ষিত থাকে ভবিষ্যতের জন্য। তার মধ্যে শিল্প, বিজ্ঞান, ইতিহাস যে কোনও ধরনের তথ্যই থাকতে পারে। এমনিতে চাঁদ পৃথিবীর তুলনায় অনেক শান্ত। বলা হয়, নিল আর্মস্ট্রংয়ের চাঁদের মাটিতে রাখা পায়ের ছাপ হয়তো মানব সভ্যতা ধ্বংসের পরেও থেকে যাবে। যদি না চাঁদের মাটিতে কোনও মহাজাগতিক বিপর্যয়ের রেশ এসে পৌঁছয়। একই ভাবে থেকে যাবে এই টাইম ক্যাপসুলও। কেমন লাগছে এমন এক গৌরবের অংশ হতে পেরে? সংবাদ প্রতিদিনকে ভারতীয় বাঙালি সোহম গুহ জানা, ‘ব্যাপারটা যে সত্যিই অভাবনীয় তাতে সন্দেহ নেই। এখনও যেন ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না।’ 
প্রসঙ্গত, সোহমের গল্পটি প্রথমে ইংরেজিতে লেখা হলেও পরে নিজেই গল্পটির একটি বাংলা ভাষ্যও রচনা করেছেন তিনি। ‘ঢেউ’ নামের সেই গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল বাংলার প্রথম ও একমাত্র কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি ওয়েবজিন ‘কল্পবিশ্ব’-র উৎসব সংখ্যায়।